সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা
আমাদের দৈনন্দ জীবনে বেঁচে থাকার জন্য শারীরিক সুস্থতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।আমরা আমাদের স্বাস্থ্য নিয়ে কম-বেশি সবাই ভেবে থাকি কিভাবে আমরা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে পারি ভালো রাখতে পারি। তাই আপনারা অনেকেই শত শত ব্যস্ত থাকার পরেও অনেকেই চান শরীরকে সুস্থ রাখতে ব্যায়াম করতে। কেননা শরীর সুস্থ না থাকলে আমাদের কাজকর্ম মন কিছুই ভাল থাকেনা। শরীর অসুস্থ থাকলে শারীরিক অসুস্থতার সাথে সাথে আমাদের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। আর তাই শরীর কি সুস্থ রাখার জন্য বাঁচার জন্য আমাদের নিয়মিত শরীরচর্চ করা উচিত। তবে এটা কখন কিভাবে করব আর কখন কখন করা যাবে না তা আপনারা অনেকেই জানেন না। একটা কথা আছে শরীর ফিট তো আপনি হিট। আমাদের শরীর কি সুস্থ রাখতে ব্যায়াম করা অত্যন্ত জরুরী। আপনাদের অনেকেরই ইচ্ছা আছে ব্যায়াম করার কিন্তু সঠিক সময়ে উঠতে পারেন না। আবার অনেকেই ব্যস্ততার কারণে ব্যায়াম করার সময় পান না। যখন সময় পান তখন কিভাবে ব্যায়াম করতে হবে কিভাবে করলে উপকৃত হবেন এ বিষয়টা অনেকে হয়তো বুঝতে পারেন না বা জানেন না। অনেকেই এমন ব্যস্ত থাকেন তাদের জন্য ব্যায়াম করার এক ঘন্টা সময় খুঁজে বের করা অনেক কঠিন। আর কখন কখন ব্যায়াম করতে হবে আপনারা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকেই ভাবেন নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকবে আসলে তা না। ব্যায়াম করার জন্য সঠিক সময় কোনটা এটা আগে জানতে হবে আর কখন কখন ব্যায়াম করা ঠিক নয় সেটাও জানতে হবে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে কখন কখন ব্যায়াম করা দরকার ব্যায়াম করার সঠিক নিয়ম এবং সঠিক সময় সম্পর্কে ধারণা দিবো।শরীরচর্চা বিষয় অনেক বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন মতামত পোষন করেন।তাই আপনারা আমার আর্টিকেলটি না টেনে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সকাল বেলা ব্যায়াম করার নিয়ম
অনেকেই ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করা শুরু করে দেয়। তবে ঘুম থেকে উঠে ভারী সরঞ্জাম দিয়ে ব্যায়াম না করা উত্তম। কারণ ঘুম থেকে উঠে যদি আমরা এক্সারসাইজ শুরু করে দেই তাহলে আমাদের শরীরের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। কেননা এক্সারসাইজ করার জন্য শরীরে অনেক বেশি এনার্জি থাকা দরকার প্রয়োজন। আর ঘুম থেকে উঠে আমাদের শরীরে সেই এনার্জি থাকে না। এর ফলে আমাদের শরীরে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। আপনি যদি অনেক ব্যস্ত থাকেন বা সময়ের অভাব থাকে তাহলে আপনি ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিট পরে কিছু হালকা ব্যায়াম রয়েছে সেগুলো করতে পারেন। যেমন জগিং বা মর্নিং ওয়ার্ক। আর যদি আপনার হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সময় থাকে। তাহলে আপনি ঘুম থেকে ওঠার পরে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে তিন হতে চার ঘন্টা পরে ব্যায়াম করুন। আর একটা কথা সবসময় আপনাদের মনে রাখা উচিত কখনো খালি পেটে ব্যায়াম করা যাবেনা। আপনারা যারা ব্যস্ত থাকেন বা খুব সকালে কিংবা ভোরবেলা ব্যায়াম করার পরিকল্পনা থাকে তাহলে আপনি আপনার সব কাজ আগের দিনে তাড়াতাড়ি শেষ করবেন এবং নির্দিষ্ট টাইমে ঘুমাতে যাবেন। আপনি ৬ থেকে সাত ঘন্টা ঘুমানোর পর আপনার পরিকল্পনা মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম করা শুরু করতে পারেন। যদি আপনার কাজের চাপের কারণে ঘুমাতে দিতে দেরি হয়ে যায় তবে ঘুম থেকে উঠে আপনি আপনার আগের নিয়মে আপনার নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম করবেন না। কারণ এতে করে আপনার শরীর অতিরিক্ত পড়তে পারে বা পড়বে। কারণ ঘুম থেকে ওঠার পরে আমাদের শরীর অনেক নার্ভাস থাকে শরীরটা কি একটিভ হওয়ার জন্য দুই থেকে তিন ঘন্টা। যাতে করে আমাদের শরীরে এনার্জি স্বাভাবিক নিয়ম ফিরে আসে।আর যখন সারাদিন নিয়মে ফিরে আসবে তখন আপনি আপনার পরিকল্পনা মোতাবেক ব্যায়াম শুরু করুন।
আর ও পডুর
রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা
দিনের বেলা ব্যায়াম করার সঠিক সময়
আমরা যদি আমাদের শরীর নেই সুস্থ রাখতে চাই এর জন্য প্রয়োজন সঠিক এবং সুন্দরভাবে ব্যায়াম করা। কেননা শরীর ভালো তো মন ভালো। কেউ যদি দিনের বেলা ব্যায়াম করতে চায় তাহলে দিনের বেলার প্রেম করার জন্য উপযুক্ত সময় হচ্ছে বিকেলে। আপনাদের তাদের ভারী ব্যায়াম করার পরিকল্পনা রয়েছে আপনারা চাইলে দিনের বেলা আপনার মন মত একটি সময় বেছে নিতে পারেন। আপনারা লাঞ্চ করার পর একটু হালকাভাবে হাঁটবেন। আপনারা যারা দুপুর বেলা ব্যায়াম করতে চান তাহলে দুপুরে খাবার খাওয়ার পরে কমপক্ষে এক থেকে ২ ঘন্টা পরে চাইলে ব্যায়াম শুরু করতে পারেন। আপনারা যারা নিয়মিত ব্যায়াম করতে চান তাহলে নির্দিষ্ট একটি রুটিন তৈরি করুন ব্যায়াম করার জন্য। আপনাদের যদি দিনের বেলা দুই থেকে তিন ঘন্টা ব্যায়াম করার পরিকল্পনা থাকে তাহলে আপনারা সে সময় টুকু আপনাদের রুটিন অনুযায়ী দিনের বেলায় নেওয়ার সুযোগ করবেন। আপনারা যারা ভারী ব্যায়াম করবেন এই ভারি ব্যায়াম করার কারণে আপনাদের আপনাদের বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গ প্রসারিত হবে এবং শরীরে অনেক বেশি এনার্জি চলে আসবে। এই অঙ্গ প্রতঙ্গগুলোকে স্বাভাবিক করার জন্য বেশ সময়ের দরকার হয়। তাই আপনারা যারা ভারী ব্যয়াম করতে চান তাহলে দিনের যে কোন একটা সময় বেছে নিতে পারেন। আর অনেকেই সারাদিন অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়। সে কারণে অফিস থেকে ফিরে অনেকে ব্যায়াম করে থাকে। সন্ধ্যাবেলায় ব্যায়াম করার কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনারা যারা অফিস থেকে বাসায় আসার জন্য গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন। আপনারা চাইলে অফিস থেকে আসার সময় হেটে আসতে পারেন। এতে করে আপনার অনেকটা শারীরিক ব্যায়াম হবে। আপনারা যারা সন্ধ্যাবেলায় এক্সারসাইজ করতে চান চাইলেও সন্ধ্যা বেলা এক্সারসাইজ করা যায়। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে এক্সারসাইজ করার আগে আপনার শরীরটা কে রিলাক্স করে নিবেন। যাতে করেএক্সারসাইজ করার সময় আপনার ক্লান্তি অনুভব না হয়। যদি ক্লান্তি অনুভব হয় তাহলে এক্সারসাইজ করবেন না। আপনি চাইলেও মেডিটেশন পদ্ধতিতে ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন, আপনার আশেপাশে কোন নিরিবিলি পরিবেশে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় ধরে চুপচাপ হয়ে সময় কাটাতে পারে। এতে করে আপনার মানসিক চাপ কমে যাবে এবং শরীর মন দুটোই ভালো থাকবে। এটাও এক ধরনের ব্যায়াম বলা যায়। এছাড়াও আপনি ট্রেডমিল কিংবা সাইক্লিং ব্যবহার করেও ব্যায়াম করতে পারেন। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী গদি বাড়িয়ে নিবেন।
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কিছু কথা
ব্যায়াম করার পরে সঠিক সময়ের সঙ্গে সঠিক ভারসাম্য না থাকলে ব্যায়ামের তেমন কোন উপকারিতা পাওয়া যায় না। সময় অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন এক্সারসাইজ করবেন সেক্ষেত্রে একটা অবশ্যই রুটিন তৈরি করে নিবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবেন। কেননা এক্সারসাইজ করার সময় শরীর দিয়ে অনেক ঘাম ঝরে যায় সেক্ষেত্রে এই অভাব দূর করার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। আপনি যদি সারাদিন অনেক ব্যস্ত থাকেন বা সারাদিন কোন ব্যায়ামই করা না হয়। এর ফলে শরীর মন দুটোই ভালো থাকবে না। এজন্য কিছুটা সময় হলেও ব্যায়াম করুন। এটা আপনার শরীর ও মনকে ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম করার পরে শরীরের রক্ত চলাচল এবং তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায় ।তাই অবশ্যই ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যায়াম করবেন না। কমপক্ষে ঘুমোতে যাওয়ার তিন হতে চার ঘন্টা আগে ব্যায়াম করে নিতে পারেন। তাই ব্যায়াম করার সিদ্ধান্ত আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মত খাবার এবং সঠিক নিয়ম পদ্ধতি গুলো মেনে চলুন।আমার পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে কিংবা যদি কিছু জানার থাকে তাহলে আপনাদের মূল্যবান মতামত জানিয়ে দিন।